বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আজকাল, মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সমস্যা মানুষের মধ্যে বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন কাজের চাপ, আর্থিক সমস্যা বা সম্পর্কের সমস্যা।
ডিপ্রেশন একটি মানসিক ব্যাধি যার কারণে একজন ব্যক্তি উদাস, হতাশ এবং মূল্যহীন বোধ করতে শুরু করে। বিষণ্ণতার কারণে ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চলুন ডিপ্রেশনের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জানা যাক।
ডিপ্রেশন বা হতাশার প্রাথমিক লক্ষণ-
১. হতাশার কারণে, অনেক সময় একজন ব্যক্তি কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে খুব দু:খি এবং একাকী বোধ করতে শুরু করে।
২. বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তি কোনো কাজে আনন্দ পান না বা কোনো আগ্রহও রাখেন না।
৩. হতাশার কারণে একজন ব্যক্তির ক্ষুধায় পরিবর্তন দেখা যায়। এই কারণে, ব্যক্তির হঠাৎ ওজন হ্রাস বা বাড়তে শুরু করে।
৪. ডিপ্রেশনে ঘুমের সমস্যা বেশ সাধারণ। এই সমস্যার কারণে অনেক সময় মানুষ হয় একেবারেই ঘুমাতে পারে না বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমায়।
৫. সারা রাত ঘুমনোর পরেও ক্রমাগত ক্লান্তি এবং এনার্জির অভাব অনুভব করা হতাশার একটি বিশেষ লক্ষণ।
৬. হতাশা একজন ব্যক্তির মনোনিবেশ করার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং মনে রাখার ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে, যা তাদের কাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
৭. হতাশাগ্রস্থ লোকেরা প্রায়শই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, অপরাধবোধ বা মূল্যহীনতার অনুভূতি এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে হতাশার অনুভূতি অনুভব করে।
৮. বিষণ্ণতার কারণে মানুষ ছোটখাটো বিষয়ে খিটখিটে ও রেগে যেতে পারে।
৯. বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণরূপে নিজেকে দূরে রাখে।
১০. বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন একজন ব্যক্তি প্রায়ই মৃত্যু এবং আত্মহত্যার চিন্তা করেন। এই ধরনের চিন্তা করা হতাশার সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা।
আপনি যদি হতাশায় ভোগেন তবে মোটেই একে অবহেলা করবেন না। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম এর চিকিৎসার প্রয়োজন। সেইসঙ্গে কোন মানুষের যে তাকে খুব ভালো করে বোঝে, জানে, এবং মনের যত্ন নিতে পারবে এমন কোন প্রিয় মানুষ সঙ্গ পেলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হয়ে উঠবে।