প্রতিদিন আমাদের বয়স বেড়ে চলেছে। বয়স কারও জন্যই থেমে থাকে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটির বেশি মানুষের বয়স হবে ৬০ কিংবা তারও বেশি। আরও একটি গবেষণা বলেছে, এই শতকের শেষের দিকে একজন মানুষ প্রায় ১২০ বছর বাঁচবেন।
নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ারের একটি গবেষণা বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিক ক্ষমতার উন্নতি হতে দেখা গেছে। তবে, এটা সব আপনার জীবনধারা ধরনের উপর নির্ভর করে। কিছু মানুষ অনেক বছর বাঁচে, তাদের বয়সও বাস্তবের চাইতে অনেক কম মনে হয়। আবার অনেকেই কম বয়সেই বুড়িয়ে যান। এসব নির্ভর করে খাবার-দাবার ও জীবনযাত্রার ওপর। কিছু বদভ্যাস বার্ধক্য ত্বরান্বিত করতে এবং বয়স কমাতেও কাজ করে। আসুন এই খারাপ অভ্যাসগুলি সম্পর্কে জানা যাক, যা আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করা উচিত।
অতিরিক্ত টিভি দেখা
মাঝে মধ্যে দু-একদিন মধ্যরাত অবধি টিভি দেখাতে ক্ষতি নেই। তবে এটা কখনই অভ্যাস হওয়া উচিত না। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুসারে, মধ্য বয়সে দীর্ঘ সময় ধরে চ্যানেল পরিবর্তন করার অভ্যাস, চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাসের দিকে নিয়ে যায়। গবেষণা অনুযায়ী, প্রচুর টিভি দেখা মস্তিষ্কে ধূসর পদার্থের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই ধূসর পদার্থ স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত এবং চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য দায়ী। তাই জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য সবার আগে বেশি টিভি দেখার অভ্যাস কমিয়ে ফেলুন। সারাক্ষণ অলস থাকা শুধু টিভি দেখা না, কোনও কাজ না করে সারাক্ষণ অলসতা তাড়াতাড়ি বার্ধক্য ডেকে আনে।
এটা শুধু শারীরিক না, মানসিক দিকেও প্রভাব ফেলে। ব্যায়াম শুধু হাড় ও পেশী সুস্থ রাখে না, এটি শরীরকে ভেতর থেকে তরুণ করতেও সহায়ক। জামা মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা সব সময় সক্রিয় থাকেন, তারা একই বয়সের অলস লোকের চেয়ে বেশি সময় তরুণ। সমীক্ষা অনুসারে, অলস জীবনযাত্রার কারণে তাড়াতাড়ি বার্ধক্য আসে এবং বয়সের আগেই নানা রকম রোগ তাদের ঘিরে ফেলে।