শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য চীনের ‘মিরাকল মেশিন’

0
145

শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি চিকিৎসা যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে চীন। প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে ‘এক্সট্রাকর্পোরেল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ বা ইসিএমও ডিভাইস তৈরি করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।

করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকেও মৃত্যুর দুয়ার থেকেও ফিরিয়ে আনছে যন্ত্রটি। এজন্য যন্ত্রটিকে ‘মিরাকল মেশিন’ও বলা হচ্ছে। কোভিডজনিত তীব্র শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ও হৃদরোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি চিকিৎসা যন্ত্র হিসেবে পরিচিত এই ইসিএমও ডিভাইস।

শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত একজন রোগীকে কৃত্রিমভাবে দীর্ঘক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা দিতে পারে যন্ত্রটি। যা কাজ করে অনেকটা কৃত্রিম হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের মতো। ওপেন হার্ট সার্জারির মতো জটিল অস্ত্রোপচারে ইসিএমও ডিভাইসের ব্যবহার হলেও কোভিড মহামারির সময় আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায় যন্ত্রটি।

কোভিডজনিত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত অনেক মরণাপন্ন রোগীকে মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ায় একে ‘মিরাকল মেশিন’ হিসেবেও অভিহিত করেন চিকিৎসকরা।

জটিল প্রকৃতির হওয়ায় বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশেরই এই ধরনের যন্ত্র বানানোর সক্ষমতা রয়েছে। সর্বশেষ রাষ্ট্র হিসেবে ইসিএমও ডিভাইস নির্মাতা দেশের তালিকায় প্রবেশ করল চীন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উদ্ভাবন সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্মিত ইসিএমও ডিভাইসগুলোর তুলনায় ওজনে প্রায় তিনভাগের একভাগ চীনের তৈরি ডিভাইসটি। মাত্র সাড়ে সাত কেজি ওজন হওয়ায় যন্ত্রটিকে সহজেই অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করা সম্ভব।

ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে নেয়ার আগেই রোগীকে সেবা দিতে পারবে ডিভাইসটি। যা তাদের প্রাণ রক্ষার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই।

বিদেশি ইসিএমও ডিভাইসের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, এর দাম অত্যাধিক। চীনে একটি আমদানি করা ইসিএমও ডিভাইসের দাম ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। তবে চীনের তৈরি যন্ত্রটির দাম আমদানি করা যন্ত্রগুলোর এক তৃতীয়াংশ কম পড়বে।