দাগহীন সুস্থ, সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বক কে না চায়। এই সময়ে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের জীবনযাপনের বিভিন্ন অসতর্কতা ও অন্যান্য কারণেও ত্বকে দাগ দেখা দেয়। রোদে পুড়ে বা অযত্নে আমাদের মুখের সঙ্গে হাতে-পায়ের রঙের ভিন্নতা দেখা যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন না অনেকেই। আবার উল্টো রিঅ্যাকশন দেখা দেয় অনেকের ত্বকে। তাই ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা আনতে জীবনযাপনে আনতে হবে বদল।
কিছু অভ্যাস যদি নিয়মিত পালন করা যায়, তা হলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে পরিশ্রম করতে হবে না।
১) রাতে ত্বক পরিস্কার করা
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া রূপরুটিনের একটি বড় অংশ। কিন্তু অনেকেই তা করেন না। সারা দিন ধরে ত্বকের কোষে ধুলোবালি জমতে থাকে। সেগুলি দীর্ঘক্ষণ ত্বকে থেকে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে এবং রাতে শোয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়াটা জরুরি। তবে শুধু ফেসওয়াশ ব্যবহার করলেও হবে না। সঙ্গে ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করতে হবে ভাল করে।
২) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ত্বকে জেল্লা আনতে অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও পড়ে। রাতে কোলাজেন তৈরি করে ত্বক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চোখের নীচের কালো দাগছোপের কারণও ঘুম না হওয়া। ত্বক ভাল রাখতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমনো প্রয়োজন।
৩) ধূমপান থেকে বিরত থাকা
সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ বেশি। অত্যধিক ধূমপানের কারণে নিকোটিন ত্বকের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। নিকোটিন ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি কোলাজেন এবং প্রোটিন তৈরি হতে দেয় না। ধূমপান অকাল বার্ধ্যক্যের কারণও হতে পারে।
৪) পানি বেশি করে খাওয়া
পানি কম খেলেও তার প্রভাব পড়তে পারে ত্বকে। উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য হল পানি। শরীরে পানির পরিমাণ বেশি থাকলে ত্বকও ভিতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে। নিয়মিত পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে ত্বক নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
৫) সুষম খাদ্যাভ্যাস
ত্বকে জেল্লা আনতে সুষম খাবার খাওয়ার দিকেও বাড়তি জোর দিতে হবে। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। শাকসবজি, ফলমূলে পুষ্টিগুণের অভাব নেই। সুষম খাবারের পুষ্টিগুণ ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ, সজীব ও উজ্জ্বল রাখে।