ব্যাকপেইন এখন ছোট বড় সবারই। এর কারণ যদি বলা হয় তাহলে আমরা বলতে পারি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। বয়স অনুয়ায়ী সঠিকভাবে যদি ব্যায়াম করা যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের তাড়াহুড়োতে, শরীরে ব্যথা, পিঠে ব্যথা এবং ক্লান্তি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আপনার নিত্য রুটিনে একটু সময় বের করে ব্যায়ামের অভ্যাসটি তৈরি করুন। দেখবেন ক্লান্তি পালিয়ে যাবে।
ভারতের তারকা পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে কিছু কার্যকর ব্যায়ামের বিষয়বস্তু জানিয়েছেন। সারাদিনের কাজ শেষে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এই ব্যায়ামগুলো করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে আপনার শিরা, শরীরের ব্যথা এবং ক্লান্তি এবং পা, হাঁটু এবং পিঠের ব্যথার জন্য ভাল হবে।
প্রথমত পিঠ সমতল করে শুয়ে থাকতে হবে। একবারে একটি পা তুলতে হবে, হাঁটু বাঁকাতে হবে এবং এটিকে আপনার বুকের কাছে নিয়ে আসতে হবে। এই ব্যায়ামটি আপনার নীচের পিঠ এবং পায়ের জন্য উপকারী। অন্য পায়ের সাথে রিলিজ এবং পুনরাবৃত্তি করার আগে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানটি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও একটি পদ্ধতি হলো দুটি পায়ের বুড়ো আঙুল ধরে রাখতে হবে এবং আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠাতে হবে। তারপর হাঁটু বিছানার অর্থাৎ নিচের দিকে নামাতে হবে। পাঁচ সেকেন্ড পর পর এভাবে করতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা করা যেতে পারে, যা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ করতে এবং ভাল ঘুমের জন্য খুব ভালো।
শোবার আগের এই ব্যায়ামগুলো পেশীর টান দূর করতে এবং রক্তপ্রবাহ উন্নত করতেই শুধু সাহায্য করে না বরং পেশী পুনরুদ্ধার এবং ঘুমও খুব ভালো হয়। এইচএসএস-এর ফিজিক্যাল থেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই ব্যায়াম আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং ঘুমের সময় ব্যাথা এড়াতে সাহায্য করবে।
আর একজন বিশেষজ্ঞও ঘাড় এবং কাঁধের ব্যায়ামকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তাদের পেশী টান পড়ে এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলছেন তারা।
তবে সঠিক সময় হিসেবে তারা এও বলছেন, সর্বোত্তম সময় যদি বলতে হয় তবে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে।