ধৈর্য বাড়ানোর ১০ কৌশল

0
294

কথায় আছে, ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আসবেই। কেউ কেউ স্বভাবগতভাবেই ধৈর্যশীল। কেউ আবার অল্পতেই হারিয়ে ফেলেন ধৈর্য। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যহারা হয়ে পড়লে বিপদ আরও বাড়ে। অনেক সময় দেখা যায় পরিস্থিতির কারণে আমরা বাধ্য হয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ি। যেমন অফিসে হয়তো সহকর্মী নানাভাবে আপনাকে হেনস্তা করছে। বস আবার আপনার বদলে সেই সহকর্মীকেই সাপোর্ট করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত হওয়া কিংবা ধৈর্যহারা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি রাগের মাথায় সহকর্মীকে আঘাত করে ফেলেন বা আপত্তিকর আচরণ করে ফেলেন, তবে সেটা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করবে আপনাকেই। এমন পরিস্থিতিতে তাই আপনাকে শান্ত থেকে ঠিক করতে হবে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে।
জেনে নিন ধৈর্য বাড়ানোর কিছু কৌশল।

১। কেন ধৈর্যহারা হচ্ছেন সেটা খুঁজে বের করুন

কোনও পরিস্থিতিতে খুব বিরক্ত হচ্ছেন? ভাবার চেষ্টা করুন কেন এটি আপনাকে বিরক্ত করছে। একবার কারণ শনাক্ত করলে নিজেই সেই বিরক্তি কাটিয়ে ওঠার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। ধরুন আপনি কারোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। যদি অপেক্ষা করতে বিরক্তবোধ হয়, তবে সেই সময়টুকুকে কাজে লাগানোর জন্য কিছু উপায় বের করুন।

২। মেডিটেশন করুন

অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মননশীলতা প্রয়োজন। চোখ বন্ধ করে, একটি গভীর শ্বাস নিয়ে মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে আপনার জন্য।

৩। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

কোনও কিছু নিয়ে হতাস হয়ে পড়লে এমন কিছু ভাবুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। এতে জীবন সম্পর্কে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি।

৪। মেনে নেওয়ার গুণ আয়ত্ত করুন

কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য আপনি কিছুই করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে, অধৈর্য হলে কিছুই সমাধান হবে না। এর চাইতে বরং পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবকিছু আরও সহনীয় হবে।

৫। রসিকতা পরিস্থিতি হালকা করতে পারে

দৈনন্দিন জীবন অনেক কম বিরক্তিকর মনে হবে, যদি পরিস্থিতি হালকা করতে পারেন। অনেক চাপের পরিস্থিতি সহজ করতে পারে হাসি ও রসিকতা। তাই কোনও পরিস্থিতিকে খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে নেবেন না।

৬। ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন

আরেকজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অন্যের কথা শেষ পর্যন্ত শোনা আপনাকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করবে।

৭। সবসময় নিজেকে প্রাধান্য দেবেন না

অধৈর্য হয়ে পড়া কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর মানসিকতা। সবারই নিজস্ব উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাই সবসময় নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে সামনের মানুষটার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। হয়তো তিনি এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যা আপনি জানেন না।

৮। ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন

ডায়েরিতে নিজের আবেগ-অনুভূতি লিখতে পারেন বা দরকারি কাজের নোট রাখতে পারেন। এটি আপনাকে কাজে ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করবে ও স্থির করে তুলবে আপনাকে।

৯। অনেক কাজে একসাথে মনোযোগ দেবেন না

অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে নিয়ে নিজের উপর চাপ বাড়াবেন না। এতে অধৈর্য হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

১০। বই পড়ুন

ধৈর্য বাড়াতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পছন্দের লেখকের বই পড়ুন বা শিক্ষামূলক বই পড়ুন। এতে যেমন নিজেকে সময় দেওয়া হবে, তেমনি বাড়বে মননশীলতা। কমবে মানসিক চাপও।

তথ্য: বেটারআপ