আপনি যদি ওজন কমান, তাহলে এটি আপনার সম্পূর্ণ দেহের ওপর প্রভাব ফেলে। ওজন কমালে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তবে দ্রুত ওজন কমানো আবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ডায়েট মেইনটেন করে ওজন কমানো উচিত। অন্যদিকে, ফ্যাট কমালে শরীরের প্রদাহ কমে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
ওজন কমানো তাহলে কী?
ওজন কমানো বলতে মূলত শরীরের ওজন হ্রাস করাকে বোঝায়, যা আপনার পুরো শরীরের যেকোনো অংশ থেকে হতে পারে। ওজন কমানোর জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ক্যালরির পরিমাণ কমানো, ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
ফ্যাট কমানো কী?
ফ্যাট কমানো অর্থাৎ শুধু শরীরের খারাপ ফ্যাট কমানো। কেউ যখন ক্যালরি বা ফ্যাট বার্ন করে তখন শরীরের খারাপ ফ্যাট পোড়ে। আর আপনার শরীরের ফ্যাট কমলে আপনি একটি শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করবেন। ফ্যাট কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো খাবার ও ব্যায়াম। এ ছাড়া মানসিক চাপ না থাকা ও সঠিক ঘুমও ফ্যাট কমানোর ভালো উপায়।
এখন প্রশ্ন হলো: ফ্যাট না ওজন কোনটি কমানো বেশি জরুরি?
ওজন কমানো আর ফ্যাট কমানোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, এগুলো শরীরের ওজন ও পরিমিতিকে প্রভাবিত করে। কেউ যখন ওজন হ্রাস করে, তখন ফ্যাটসহ পেশির ওজন কমে যায়। এ ছাড়াও ওজন হ্রাসের ফলে দুর্বলতা এবং পেশি ভর হ্রাসের অনুভূতি হতে পারে। এটি ফিটনেস এবং বডি বিল্ডারদের জন্য ভালো সমাধান।
ফ্যাট হ্রাস পেশিগুলোকে পেছনে রেখে খারাপ চর্বি কমানোর দিকে মনোনিবেশ করে। এটি আপনার শক্তি এবং পেশি ভর বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ওজন ও ফ্যাট কমানোর মধ্যে আরেকটি বড় পার্থক্য হলো সময়। অপেক্ষাকৃত কম সময়ে ওজন কমানো যায়। বিশেষ করে কেউ যদি কঠিন ডায়েট করেন। কিন্তু দ্রুত ওজন হ্রাস টেকসই হয় না এবং এর বিপরীত প্রভাবও হতে পারে। একটু অসাবধান হলেই আবারও ওজন বাড়তে পারে। আর চর্বি কমানো একটি ধীর প্রক্রিয়া। যার জন্য প্রয়োজন ক্রমাগত ব্যায়াম। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সুগঠিত ডায়েট মানতে হবে।