চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে আক্রান্তের হারও বাড়ছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন। আর দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ২০১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ২ হাজার ৪১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকার। আর ঢাকার বাইরের ২ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে রেকর্ড ২ হাজার ৪১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৬২ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৯২৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৬৪৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ২৮১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ২২ হাজার ৩৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ৫৬০ জন। ঢাকায় ১৭ হাজার ৫৪১ এবং ঢাকার বাইরে ১২ হাজার ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মৃত্যুর জন্য বিগত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর হেমোরেজিক ফিবার ও শক সিনড্রোমকে দায়ী করে রোগী ও স্বজনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।