আমরা অনেকেই জানি চিংড়ি, মসুর ডাল, গরুর মাংস এসব খেলে অ্যালার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে শুধু এসব খাবারেই যে অ্যালার্জি বাড়ে এমনটি নয়, এর বাইরে আরো অনেক খাবার আছে যেসব খাবারে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) মতে, অ্যালার্জি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খাবারের নির্দিষ্ট প্রোটিনের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার কারণে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিক্রিয়াগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হয়, শরীরে লালচে র্যাশ, ঠোঁট ফুলে যাওয়া, চোখ-মুখ ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ থেকে শুরু হয়। অনেকেকের মারাত্মক শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।
তাই আমাদের সবাই অ্যালার্জির বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। চলুন জেনে নিই কোন কোন খাবারগুলো
আপনার অ্যালার্জির কারণ হতে পারে-
ডিম
ডিম সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। আর ডিমে সাধারণ খাদ্য অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিসাবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমে বিভিন্ন প্রোটিন থাকে, তাই এর যেকোনো একটি আপনার অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অনেক সময় দুইটিও হয়। ডিম খাওয়ার পর অ্যালার্জি হলে সাধারণত হজমে সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এমনটা হলে
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং গরুর দুধের অ্যালার্জি এই দুটি আলাদা বিষয়। গরুর দুধের কারণে অ্যালার্জি হলে ত্বকের উপরিভাগ ফুলে যেতে পারে, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে এবং কারও কারও ক্ষেত্রে বমি হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। গরুর দুধে অ্যালার্জি ধরা পড়লে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি গরুর দুধ এবং তা দিয়ে তৈরি সব ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন।
চিনা বাদাম
আরেকটি সাধারণ অ্যালার্জেন খাবার হলো চিনা বাদাম। যা মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে আসল কারণ এখনও অজানা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনা বাদামের অ্যালার্জি বংশগত হতে পারে।
গম
বেশিরভাগ মানুষই গ্লুটেন সংবেদনশীলতাকে অ্যালার্জি ভেবে ভুল করে। প্রথমটি গমের নির্দিষ্ট প্রোটিনের কারণে ঘটে। যেকোনো খাবারে পাওয়া গ্লুটেনের কারণে সিলিয়াক নামক রোগ দেখা দিতে পারে। গমের কারণে অ্যালার্জি দেখা দিলে আপনাকে খাবার তালিকা থেকে গম বাদ দিতে হবে।
শেল ফিশ
শেল ফিশ নামের কোনো মাছকে চিনতে পারছেন না তাই তো? আসলে এ নামে কোনো মাছ নেই। বরং শেল ফিশ বলতে সেই ধরনের মাছকে বোঝায় যে মাছ শক্ত খোসা বা আবরণ দ্বারা ঢাকা থাকে। এ ধরনের মাছ থেকে অ্যালার্জি হওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। বিভিন্ন প্রকারের শেল ফিশ যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই অ্যালার্জি হয় বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের।