ডাবের পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, কখন?

0
247
ডাবের পানি
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ডাবের পানির মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ পানীয় নেই বললেই চলে। তবে কখনো কখনো এই পানীয়ই শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই ডাবের পানির কিছু অপকারিতার কথা।
গরমের এই সময়টাতে ডাবের পানির চাহিদা থাকে অনেক বেশি। ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। এ ছাড়া আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, ফাইবার এবং ডাই-ইউরেটিক উপাদান। তবুও ক্ষেত্রবিশেষে এই পানীয় আমাদের শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যদি কেউ অ্যালার্জি, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন তবে সে সময় ডাবের পানি পান করাটা নিরাপদ নয়। এতে শারীরিক জটিলতা কমবে না বরং বাড়বে।

ডাবের পানি কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। তবে আপনি যদি কিডনি রোগী হন সেক্ষেত্রে এই পানীয় মোটেও নিরাপদ নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনি ভালো রাখার সেরা উপায় পানি পান করা। কিন্তু কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে এই পানির পান করার পরিমাণ আপনার কমিয়ে আনতে হবে আক্রান্ত কিডনিকে ভালো রাখার জন্য।

ঠিক তেমনি আপনি যদি কিডনি রোগী হন তবে আক্রান্ত কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে ডাবের পানিকে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। তাই এই পানীয় কিডনি রোগীদের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম উপাদান শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু শরীরে এগুলোর কোনোটার পরিমাণ বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় নাও থাকতে পারে। হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণও হতে পারে এই পানীয়।

অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করার অভ্যাসে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম জমার সুযোগ পায়। যা কিডনি ও হৃদপিণ্ড দুটোই অকার্যকর করে দিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অবস্থায় রোগীর মুত্যু অনিবার্য হতে পারে। তাই যাদের দেহে প্রচুর পটাশিয়াম আছে এবং বের হয় না, তাদের ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়।
ডাবের পানিতে থাকা সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা সপ্তাহে একদিনের বেশি ডাবের পানি পান করবেন না। তাই যাদের এসব সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি পান করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।