অফিস, বাড়ি কিংবা বন্ধুর সাথে, সারা দিনে মোবাইল ফোনে কতবার কথা হয় তার হিসেব কেউ রাখে না। কথা বলার সময়েও খেয়াল থাকে না ঠিক কত ক্ষণ ধরে কথা বলছেন। প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব হলে তো আর ঘড়ি ধরে মেপে কথা বলা যায় না।
এ দিকে হালের গবেষণা বলছে, আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বললে নাকি উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়োফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। তথ্যটি ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ব জুড়ে প্রায় বেশির ভাগ মানুষই হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। যা কম বয়সে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। চীনের সাউদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেন, “সারা দিনে কত মিনিট কথা বলছেন, তার উপর নির্ভর করছে কার হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কেমন। একেবারে অল্প বয়স থেকে এই মোবাইল ফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে কম বয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
প্রায় ১২ বছর ধরে চলা ৩৭ থেকে ৭৩ বছর বয়সি দু’লক্ষ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৩,৯৮৪ জনের শরীরে হাইপারটেনশনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না যাঁরা, তাঁদের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।