গরমে আরামের একমাত্র ভরসা এসি। এসি বা কুলারের ঠান্ডা বাতাস প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি এনে দেয় ঠিকই।
কিন্তু প্রশ্ন হল, বাচ্চার বয়স ছয় মাসের নিচে হলে কি তাদের এসি ঘরে শোয়ানো উচিত? আদৌ কি এসির ঠান্ডা বাতাস শিশুদের জন্য নিরাপদ? কিছু নিয়ম মেনে চললেই এসি ঘরেও আপনার শিশু থাকবে নিরাপদ।
সরাসরি ঠান্ডা বাতাস যেন গায়ে না লাগে
ঘরে কুলার বা এসি ব্যবহার করলে বাচ্চাকে সরাসরি ঠান্ডা বাতাসের কাছাকাছি রাখা একদমই উচিত না। তাতে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। শিশুর ঘরের তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি হওয়া উচিত। এর থেকে কম যেন না হয়।
জানালা খোলা রেখে কুলার চালান
গরম বাতাস থেকে স্বস্তি পেতে অনেকে কুলার ব্যবহার করেন। কিন্তু বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে কুলার ব্যবহারের সময় নিয়ম মানতে হবে। ঘরে ঠিকমতো বাতাস চলাচলের সুবিধায় কুলার চালালে ঘরের জানালা অবশ্যই খোলা রাখবেন। কারণ বদ্ধ ঘরে কুলার চালানোর ফলে আর্দ্রতা বেড়ে যায়।
ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না
এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করলে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, এর থেকে শিশুর ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, এসিতে ঘুমালে শিশুর হাঁচি-কাশি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই বাচ্চার নাকের চারপাশে সামান্য তেল লাগাতে ভুলবেন না। সারা গায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তাতে করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।
পাতলা চাদর ব্যবহার করুন
ঘরে এসি বা কুলার চললে বাচ্চার গায়ে পাতলা চাদর দিয়ে দিন। তবে কখনই মোটা কম্বল বা চাদর ব্যবহার করবেন না। এসি চালানোর আগে শিশুকে অবশ্যই ফুল হাতা পোশাক পরিয়ে দিন। তাতে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমবে।
এ ছাড়া ঘুমানোর সময় বাচ্চাকে কুলার বা এসির দিকে মুখ করে শোয়ানো উচিত না। এসি রুম থেকে বের হওয়ার আগে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, সেদিকে নজর রাখবেন। চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় এসি বা কুলারের ঠান্ডা বাতাসের কারণে শিশুর সর্দি-কাশি হতে পারে। তাই এসি চালালেও ঘরের তাপমাত্রা যাতে খুব ঠান্ডা হয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখুন।