সেলফি তোলেনি যেন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের একগুচ্ছ ছবি তোলা কিছুটা আত্মমগ্ন হওয়ার মত। এটি আপনাকে আপনার চেহারা সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। সেলফি শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জেনে নিন সেলফির ৭ উপকারের কথা।
রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করে: আপনি কি জানেন সেলফি জীবন বাঁচাতে পারে? নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সেলফি রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি কিনা তা চিকিৎসকরা নিজস্ব প্রতিকৃতি দ্বারা বিশ্লেষণ করে। চেহারার কিছু বৈশিষ্ট্য জানিয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা বেশি আপনার জন্য।
নিজের যত্নের জন্য: অনেকেই মনে করে সেলফি কেবল মাত্র আত্মমগ্নতার কাজ করে। কিন্তু তা সঠিক নয়। সেলফির মাধ্যমে আপনি বুঝবেন কীভাবে আপনাকে ভাল দেখাচ্ছে। কোন সময় আপনাকে বেশি সুন্দর লাগছে। এতে করে নিজের ব্যাপারে জানা যায়। নিজের যত্ন নেওয়া যায়।
মন ভালো রাখতে সাহায্য করে: হাসি এমন একটি জিনিস যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। একটি সেলফির জন্য হাসি দেওয়া আপনাকে ভাল বোধ করতে সাহায্য করবে। সেলফি হাসতে উৎসাহিত করে। মন ভাল রাখে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়: আত্মপ্রেম একটি বড় বিষয়। সেলফি আত্নপ্রেম বাড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সেলফি তোলেন তারা বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং বেশি আকর্ষণীয় বোধ করেন।
সেলফি নিজস্ব সত্ত্বার প্রতিফলন: সেলফি জীবনকে প্রতিফলিত করে। প্রতিনিয়ত সেলফি তোলার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ট্রাক করতে পারছেন। এ থেকে আপনি নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। দিনের শুরুতে একটি সেলফি আপনাকে যেভাবে দেখাবে, দেনের শেষে আপনাকে সেভাবে দেখাবে না।
সামাজিক হতে সাহায্য করে: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমদের সেলফি সবচেয়ে বেশি শেয়ার করে থাকি। এই সেলফি শেয়ারের মাধ্যমে সবাই আপনাকে জানতে পারে। আপনার সাথে কথোপকথনও শুরু করতে পারে। সেলফি বিশ্বে সংযোগের সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।
স্মৃতি ধরে রাখার উপায়: অনলাইন সূত্র অনুসারে সেলফিকে ‘নস্টালজিয়া’ বলা হয়ে থাকে। অতীতের খুশির মুহূর্তগুলো মানসিক শান্তি দেয়। সেলফি স্মৃতি ধারণ করে রাখে বলে আমরা সেগুলো বারবার দেখতে পাই। জীবনযাত্রায় ভাল থাকার এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।