শিশুর ঠান্ডাজনিত রোগ ও জ্বর হলে করণীয়

0
215

ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু জ্বর সহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে আসা এসব শিশু রোগীর বেশিরভাগ বয়সই দুই বছরের নিচে। এমন অবস্থায় অসুস্থ শিশুর সুরক্ষায় বাড়িতে আপনার করণীয় কী জানেন?

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালে ভর্তির বেশিরভাগই জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও উপ-পরিচালক এস এস খালিদ মাহমুদ বলেন, ঋতু পরিবর্তন হলেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এতে দ্রুত আক্রান্ত হয় কোমলমতি শিশুরা।

করণীয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব শিশু রোগীর সুস্থতায় বাড়িতে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এজন্য-

১। নির্দিষ্ট সময় পরপর তাপ কমাতে কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দেয়া
২। ঘাম মুছে দেয়া
৩। কয়েল ও সিগারেটের ধোয়া থেকে দূর রাখা
৪। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা
৫। বেশি সময় নিয়ে গোসল না করানো

পাশাপাশি ঠান্ডা খাবার ও ফুল স্পিডে ফ্যান ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলেই পরিবর্তিত ঋতুতে শিশুদের সুস্থ রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

দীর্ঘ সময় জ্বরে আক্রান্ত হলে এবং বমির সমস্যা থাকলে পানি শূন্যতায় ভুগতে শুরু করে শিশু। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, বাড়িতেই এসব রোগের শুশ্রুষা সম্ভব।

কখন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

দুইদিনের বেশি সময় জ্বর থাকলে, ১০০ ডিগ্রির ওপরে জ্বর হলে, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে, বারবার বমি হলে, শিশু খাওয়া ছেড়ে দিলে, ৪-৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না করলে, নিস্তেজ বা অতি অস্থির হলে শিশুর চিকিৎসা বাড়িতে না করে হাসপাতাল কিংবা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।