জ্বরের ওষুধ কিংবা ব্যথানাশক হিসেবে দেশে জনপ্রিয় ও নিরাপদ একটি ওষুধের নাম প্যারাসিটামল। চিকিৎসকরে পরামর্শ ছাড়া হরহামেশাই এ ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে দেশবাসীর। অথচ অনেকেই জানেন না প্যারাসিটামল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদন বলছে, সবারই নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট। তাই আসুন জেনে নিই, প্যারাসিটামল সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
১। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হলে কোনো ওষুধই খাওয়ার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন জ্বরকে ভাইরাল ফিভার বলা হয়। যা আপনা থেকেই সেরে যায়। তাই ১০১ ডিগ্রির ওপরে জ্বর হলেই খেতে পারেন প্যারাসিটামল ট্যাবলেট।
২। যেকোনো শারীরিক ব্যথা,মাথা ব্যথা এমনকি পিরিয়ডের ব্যথাতেও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কার্যকরী। তবে ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট কখনই দিনে দুবারের বেশি খেতে যাবেন না।
৩। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারটি প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় এর বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।
৪। শিশুদের বয়স অনুযায়ী, চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল দিতে হবে।
৫। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের দাবি, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।
৬। ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে তিন দিনে সমস্যার সমাধান না হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭। গবেষণা বলছে, বেশি প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করে।