উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম, স্বাস্থ্য খারাপ, বন্ধুরা হাসাহাসি করে। তাছাড়া প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। কিভাবে স্বাস্থ্য ভালো করতে পারেন। অনেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাদের বলব- ওজন ঠিক আছে কিনা, তা বুঝতে চিকিৎসকেরা একটি নির্দেশক ব্যবহার করেন, যার নাম বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স। উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের চিকন পাতলা মানেই অসুখ নয়, পরিমাপ এটা।
যদি বিএমআই ঠিক থাকে তবে দেখতে শুকনো বা চিকন হলেও আপনি সুস্থ আছেন বলে ধরে নিতে হবে। তবে বিএমআই স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে আন্ডারওয়েট বা ভগ্নস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা যায়। উচ্চতা, ওজন এবং কাজের ধরন বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিচাহিদা সম্পর্কে জেনে নিন।
কিছু সাধারণ রোগের জন্য অনেক সময় ওজন কমে যেতে পারে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা বা কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। খাবার রুচি ভালো এবং অনেক খাই তবু ওজন বাড়ে না। রুচি ভালো এবং যথেষ্ট খাবার খাওয়ার পরও ওজন কম থাকার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত পরিশ্রম কিংবা কিছু রোগ। অন্তত ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
পরিশ্রম অনুযায়ী প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করুন। একটি সুষম খাদ্য তালিকায় আমিষ, শর্করা, চর্বি বা তেল ও ভিটামিন খনিজের সঠিক সমাহার থাকতে হবে। সামান্য চাপে, পরিশ্রম বেশি করলে বা ঠিকমতো ঘুম না হলে দ্রুত ওজন কমে যায় এবং স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে কেন? সারা দিন যতই পরিশ্রম করুন না কেন, পরিপূর্ণ ঘুম হওয়াটা জরুরি। ঘুম অনেকটা ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার মতো। সারা দিনের পরিশ্রমের পর এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া।
ঘুমের সময় হরমোনজনিত নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টি উপাদানগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগে। রোজ ছয় ঘণ্টা ঘুমালে আপনি সতেজ ও প্রফুল্ল থাকবেন। নিজের জীবনের জন্যই আপনাকে খেতে হবে।
প্রথমে আপনার বয়স, উচ্চতা, ওজন কর্মপরিধি প্রভৃতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ক্যালরির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী প্রতিদিনের খাবারের পরিমাণটাও ঠিক করে নিতে হবে। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। রপ্ত হোক সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং রোজকার হালকা ব্যায়াম।
প্রতিদিন অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন। খেতে ভালা না লাগলে কিছুদিন পরপর খাবারের রেসিপি বদলে নিতে পারেন। এছাড়া ছোটখাটো কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করিয়ে নিন।