আপনার কিডনি সুস্থ আছে তো?

0
171

বিশ্ব কিডনি দিবস বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর কিডনি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’।

প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, দেশে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, কিডনি মানবদেহের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বর্তমানে সাধারণ এবং জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

কিডনি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে কিডনির সমস্যা হলে বুঝবেন এসব লক্ষণ দেখে-

১। বিশেষজ্ঞরা বলছে, যদি কিডনি রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে তবে পিঠে ব্যথা হবে। ওপর দিকে নয়, নিচের অংশে। এ ব্যথাকে সাধারণ ব্যথা মনে না করে অবশ্যই গুরুত্ব দিন।

২। কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য নির্গত করে। কিন্তু কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে মূত্রনালিতে সমস্যা দেখা দেয়। বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ।

৩। কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সব সময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব, ওজন দ্রুত কমে যাওয়া কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয় না। রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বাড়তে থাকে। যা ত্বকে চুলকানি ও র‌্যাশ তৈরি করে। গরম আবহাওয়ার মধ্যে শীত অনুভূত হওয়াও কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

৪। কিডনি সমস্যায় রক্ত পরিশুদ্ধ হতে পারে না। যার কারণে মুখ, চোখের চারপাশ, পায়ের গোড়ালি হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে ফুসফুসে তরল জমা হবে। ফলে শ্বাসকষ্টও অনুভূত হতে পারে কিডনি রোগীর।