নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। ধরন ও কোম্পানিভেদে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় ওষুধের উচ্চমূল্য কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
পরে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধের দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। ওষুধের দাম যে কোনো মূল্যে কমানোর জন্য ওষুধ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে ওষুধের দাম কোন পর্যায়ে, কত কমানো যাবে এ বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বৈঠক শেষে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি। তবে এর বাইরে ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করে কিছু ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ডলারের দাম বেড়েছে। আর ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। সেই অনুযায়ী, কিছু দামে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে অত্যবশ্যকীয় ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি। ১১৭টি ওষুধের দাম সরকার আগে যা ঠিক করে রেখেছিল, সেগুলো আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে যেসব পণ্য আমরা বিদেশি থেকে আনি, সেগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে কিছু সমন্বয় করা হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে বেশি বাড়তে দেয়া হয়নি।
ওষুধের দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে বলা হচ্ছে, ডলার সংকট ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি। যদিও অভিযোগ আছে, মূল্য সমন্বয়ে কোম্পানির চাওয়ার প্রাধান্য থাকে বেশি।
এ অবস্থায় মানুষের ক্রয় সক্ষমতাকেও বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে মোট ৩০৮টি কোম্পানি ২৭ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন করে। এরমধ্যে কেবল ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। সেখানেও অভিযোগ, কোম্পানিগুলো নির্ধারিত জেনেরিকের সঙ্গে নতুন কিছু সংযোজন করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যান।