আবারো চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। শনাক্ত হয়েছে নতুন উপধরন জেএন পয়েন্ট ওয়ান। এ অবস্থায় সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, বৃদ্ধ ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা দেয়া শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে প্রচলিত ভ্যাকসিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে, ভ্যারিয়েন্টের প্রকৃতি গবেষণা করে দেশেই টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত সংক্রমণশীল। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে মাস্ক পরা, কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা এবং লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, নতুন উপধরনের রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা আছে। তবে এর কারণে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর ভয় তেমন নেই।
এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ও স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার ৮টি হাসপাতালে দেয়া হবে টিকা।
তবে কোভিডের প্রচলিত ভ্যাকসিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, আদি ভ্যারিয়েন্ট বা কিছু কিছু স্পেসিফিক ভ্যারিয়েন্টের বিপরীতে করোনার ভ্যাকসিন কার্যকর হয়েছে। মূলত প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলো আগের ভ্যারিয়েন্টের বিপরীতে প্রোটেকশন দেয়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিপরীতে এসব ভ্যাকসিনের কার্যকর মাত্রা এখনও পরিমাপ করে দেখা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট গবেষণা করে দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ বিশ্লেষকদের।