শীত পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যে আবার নিম্নচাপের বৃষ্টি। এই সময় সামান্য অসতর্ক হলেই বাসা বাঁধতে পারে রোগ। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এই সময়টায় সতর্কতা অবলম্বন করার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে জ্বর এবং সর্দির লাইন, যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু এবং বৃদ্ধ। চিকিৎসক বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি এবং মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বৃষ্টিপাত অনুঘটকের কাজ করছে এক্ষেত্রে।
এ সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে কয়েকটি তুলসি পাতা বেঁটে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে বলছেন চিকিৎসক। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া সহজলভ্য প্যারাসিটামল কিনে রাখতে উপদেশ দিয়েছেন চিকিৎসক।
এই সময় গরম পোশাক ব্যবহার করতে হবে যতটা সম্ভব। ঠান্ডা লাগতে না দিলে কোনও সমস্যা হবে না। তা ছাড়া বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে লিভোস্যালবুটামল ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নাক বন্ধ হয়ে যায় এই সময়। নাক বন্ধ হয়ে গেলে একটা “নেগেটিভ প্রেসার” তৈরি হয়। এই চাপের জন্য মাথা ধরে যেতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এসব ক্ষেত্রে সেলাইন নাসাল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ঘরোয়া উপশম হিসেবে গরম পানির ভাপ নেওয়া কিংবা গারগেল করতে হবে।
বৃষ্টির কারণে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। বৃষ্টি ভেজা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে। তবুও স্কাবিজ কিংবা অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশন হলে মাইক্রোনাসল এবং অট্রিমাজিল মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দুটোই খুবই সহজলভ্য। তা ছাড়া ঘরোয়া উপশম হিসেবে হাত-পা ধুয়ে ভাল করে মুছতে হবে।
হাতের খাঁজ, আঙুলের ফাঁক, পায়ের আঙুলের ফাঁক ভালো করে পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে হবে। সবশেষে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। সমস্যা জটিল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র- নিউজ ১৮