শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা একটি দরজার মতো কাজ করে। যে দরজা দিয়ে অনায়াসেই ঢুকে পড়ে আরও অনেক রোগ। তাই প্রথম দিকেই শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে রোগীর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বয়স বৃদ্ধিতে নানা রকম শারীরিক সমস্যার সঙ্গে শরীরে দেখা দেয় হাই কোলেস্টেরলের সমস্যাও। কিন্তু আপনি কি জানেন, সঠিক সময়ে শরীরে এ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে না পারলে অসময়েই হারাতে পারেন আপনার মূল্যবান প্রাণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান ব্যস্ত সময় ও বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাসে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। তাই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অবহেলা করে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
দৈনন্দিন জীবনে এত নিয়মের বেড়াজালে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে রাশ টেনে সুশৃঙ্খলিত জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি সঠিক ডায়েট লিস্ট আপনার শরীরে অনেকটাই খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু ডায়েটে দুটি খাবারের প্রাধান্য এ সমস্যাকে নিমেষেই দূর করতে পারে।
আসুন জেনে নিই, ওষুধ ছাড়াই ঠিক কোন দুটি খাবার খেলে দ্রুত কমবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন পেয়ারা ও দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত কমে।
পেয়ারায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা নানা রকম দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়। পেয়ারার প্রচুর পরিমাণে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল আটকানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফাইবারে ভরা পেয়ারা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, পেয়ারার পাশাপাশি রসুনও শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে পারে ম্যাজিকের মতো। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, ওবেসিটির মতো ক্ষতিকর অসুখ, হার্ট অ্যাটাক এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও পারে রসুন। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় পেয়ারা আর রসুন রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।