বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত। দেশে পোলিওমুক্তর ঘোষণা করা হয়েছে ২০০৬ সালে।
বছর বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ‘প্রত্যেকের জন্য পোলিও-মুক্ত ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে, উচ্চ টিকাদান কাভারেজ বজায় রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে উচ্চ-মানের নজরদারি প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত হতে হবে।’
জানা যায়, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ব পোলিও দিবসের প্রচলন করে । ১৯৫৫ সালে বিজ্ঞানি জোনাস সক ও তার গবেষণাদল বিশ্বের প্রথম পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। এই সাফল্যের জন্য তার জন্মদিনেই বিশ্ব পোলিও দিবস পালন করা শুরু হয়।
২০০২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপিয়ান অঞ্চলকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে। অক্টোবরের ২৪ তারিখেই এই ঘোষণা দেয়া হয়। সেই থেকেই এই তারিখটিকে বিশ্ব পোলিও দিবস হিসেবে পালনের প্রচলন শুরু।
বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে রোটারি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি, নানা শ্রেণি ও সংগঠনের সম্পৃক্ততা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে।
দেশে ১৯৭৯ সাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে পোলিও নির্মূলের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক টিকা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু হয় ১৯৯৫ সাল থেকে।
সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণের মধ্যে গুরুতর লক্ষণ হলো— জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব।
পোলিও হলে নানা প্রত্যঙ্গে জটিলতা তৈরি হয়। মস্তিষ্কে আঘাত হানে। এটি মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়ায়।