আমাদের দেহের বাড়তি ওজন যে কেবল পছন্দের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে তা নয়, বরং এর সঙ্গে নানা রকম শারীরিক জটিলতারও সৃষ্টি করে। তাই আমাদের চেষ্টা করা উচিত সব সময় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন: চর্বিহীন প্রোটিন, লেবু, বাদাম ইত্যাদি।
তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো দেহের মেটাবলিজমের অভাব। মেটাবলিজম বাড়লে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়। আর মেটাবলিজম বাড়ানোর বেশ কিছু উপায় আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু খাবার আছে যা দেহের মেটাবলিজমের হার বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই কী খেলে আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়-
ভেজানো কাঠবাদাম
চেষ্টা করুন ভেজানো কাঠ বাদাম খেয়ে সকাল শুরু করার। আমন্ড বা কাঠবাদামে আছে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
সকালের নাশতায় প্রোটিন
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই সকালের নাশতায় প্রচুর পরিমাণে প্রেটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রোটিন। এটি খাদ্যের তাপীয় প্রভাব বা থারমাল এফেক্ট অব ফুড বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। দুধ, ডিম, পনির, সয়া, মসুর ডাল ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।
গরম পানি
ওজন কমাতে সাহায্য করে গরম পানি। আর আপনি যদি প্রতি ঘণ্টা এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার দেহের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে। এতে দ্রুত ওজন কমে।
দারুচিনি কিংবা এলাচের চা
ওজন কমাতে সব ধরনের মশলা চা-ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আমাদের মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে এলাচ ও দারুচিনি। সকালে গ্রিন টি’র সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। উপকার মিলবে। আর দুপুরের খাবার পর খেতে পারেন এক কাপ এলাচের চা।
সবুজ শাক
পাতাযুক্ত সবুজ শাকগুলি যেমন কেল, পালং শাক এবং কলার্ড গ্রিনস ফাইবার এবং পুষ্টির প্যাক যা আপনাকে সন্তুষ্ট এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সবুজ শাক-সবজিতে থাইলাকয়েড, উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যা বর্ধিত তৃপ্তি এবং আরও ভাল ক্ষুধা ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত বিশ্বস্ত উৎস।