ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি। তাই তাদের একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়। ডায়াবেটিসের কারণে অনেক সময়ই পায়ে সংক্রমণ দেখা দেয়, সেখান থেকে পা-কে আর বাঁচানো যায় না। তা কেটে বাদ দিতে হয়, তাতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যথেষ্ট যত্ন নিতে হয়।
পায়ের যত্নে ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ জুতা পরা উচিত যাতে পায়ের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। গ্রেটার নয়ডার ফোর্টিস হাসপাতালের কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান ড. প্রমিলা আর বৈথার জানান, রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে মানুষের হার্ট, কিডনি ও নার্ভের ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে যখন একজন ব্যক্তির স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে, আর তার প্রভাব পরে পায়েও। এর ফলে অনেক সময় পায়ে আঘাত লাগলে তা অনুভূত হয় না। গরম-ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে যায়। আর এসবের পাশাপাশি পায়ে ক্ষতও তৈরি হয়, একে ‘ডায়াবেটিক ফুট’ বলা হয়।
ড. প্রমিলা বৈঠার মতে, পায়ের এই ক্ষত সারাতে অনেক সময় লাগে। ড্রেসিং এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে তা সারিয়ে তোলা গেলেও, বেশির ভাগ সময়ই তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তখন উপায় না দেখে রোগীর পায়ের আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলতে হয়। এতে প্রাণহানিও আশঙ্কা থাকে। তাই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হাঁটাহাঁটি ও চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খেতে হবে।
তার মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের নরম জুতা পড়তে হবে। ভাল মানের নরম জুতা পায়ে আরাম দেবে এবং যে কোনও ধরণের আঘাত থেকে পা-কে রক্ষা করবে। প্রি-ডায়াবেটিস রোগী এবং যাদের ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের প্রতি তিন মাস অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিত এবং কয়েক মাস অন্তর অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: নিউজ ১৮।