থেমে থেমে বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা নাজুক থাকায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ১১ শতাংশই শিশু। অন্যদিকে মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৮ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এ অবস্থায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, যা রোববারও চলছে। কিন্তু আবহাওয়ার এমন বৈরী মনোভাবেও বাঁধ সাধতে পারেনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বাবা মায়ের হাত ধরে ছুটে আসে স্কুলে।
যে স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থীদের এতটা ভালোবাসা-আবেগ, ডেঙ্গুর এই নিদানকালে কেমন আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? বৃষ্টির পানিতে স্কুলের আশপাশ সয়লাব। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত প্রায় প্রতিটি পাত্রই পানিতে পরিপূর্ণ। ড্রেনের স্বচ্ছ পানিও তৈরি করে আতঙ্ক।
শুধু স্কুল কম্পাউন্ডই নয়, পাশের টিনের চালাও মশার ঊর্বর প্রজননক্ষেত্র। মশার এমন কারখানার মাঝেই চলছে স্কুল। যা ভাবিয়ে তুলছে অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীরাও বলছে নিজের এবং বন্ধুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের পর সীমাহীন যন্ত্রণার গল্প।
রাজধানীর অধিকাংশ স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে-সেখানে জমে থাকা পানি, নর্দমা আর পরিত্যক্ত পাত্র মশার ঊর্বর প্রজননক্ষেত্র। তবুও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় শিক্ষকদের দাবি, স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখতে তৎপর তারা। বলছেন, শিক্ষার্থীরা কোথা থেকে মশার কামড় খায় তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। এজন্য স্কুল থেকে শুরু করে অভিভাবক সবারই সচেতন থাকতে হবে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১২ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৩৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৭১ জনের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। সংকট থেকে উত্তোরণে শুধু স্কুল কর্তৃপক্ষই নয়, অভিভাবকদেরও সচেতন হতে বললেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ।
এদিকে, মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রিসার্চ সেন্টার করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।