বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় নির্ধারণে মনিটরিং টিম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়ের নামে রোগীর ‘গলাকাটা’ হচ্ছে – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফি যা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেভাবেই নেবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। তবে বেড ভাড়া এবং অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়নি। আমরা গতকাল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কমিটি যেটা করা হয়েছে তারা অতি দ্রুত কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। এরপর একটা সিদ্ধান্ত আমাদের দেবেন। দেওয়ার পর আমরা সারকুলেট করে দেবো।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরকেও সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় অতিরিক্ত খরচ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাইরেক্টরদের বলছি, এ বিষয়ে দ্রুত খোঁজ নিতে হবে। বেসরকারি যেসব হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী আছে, সেগুলোতে টিম পাঠাতে হবে এবং অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় ঢাকায় সব হাসপাতালে প্রিপারেশন দেখবেন। রোগীদের যেন বেশি ব্যয় না হয় সেবিষয়ে খেয়াল রাখবেন। ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে দেরি করলে হসপিটালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবিষয়ে আজই একটা নোটিশ জারি করে দেন।