ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেই দ্রুত কমে যাচ্ছে প্লাটিলেট। তবে ১০ হাজারের নিচে নামলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই- বলছেন চিকিৎসক। রক্তচাপ কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে রোগীকে হাসপাতালে আনতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
জ্বরের তিন দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হন চল্লিশ বছর বয়সি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জুয়েল। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ার পাশাপাশি প্লাটিলেট নেমে আসে ১০ হাজারে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
প্রায় একই অবস্থা ঘটে কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা আবুল বাশারের ক্ষেত্রে। তবে বাশারের প্লাটিলেট ৩৬ হাজারে নেমে আবার বাড়তে শুরু করায় কেটে যায় শঙ্কা।
চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গুর অস্বাভাবিক লক্ষণ। আগের মতো জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা থাকলেও কারো কারো বমি এবং পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অনেক দ্রুত।
ডেঙ্গুতে রক্তের প্লাটিলেট কমা মানেই আতঙ্ক- প্রাথমিক ধারণা এটাই। তবে অন্য উপসর্গ না থাকলে এখন প্লাটিলেট ১০ কিংবা ৫ হাজারে নেমে এলেও ভয় নেই বলছেন চিকিৎসকরা। তবে, হঠাৎ অতিরিক্ত বমি, পেটব্যথা, অতিরিক্ত দুর্বলতা, দাঁত, নাক, মাড়ি ও মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া ডেঙ্গুর বিপদ চিহ্ন উল্লেখ করে রক্তের ঘনত্ব জানতে হেমাটোক্রিট পরীক্ষার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক।
আর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শিশু ও বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা মানুষদের প্রতি বড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।