পিরিয়ড বা মাসিক যন্ত্রণাদায়ক হয় অনেক নারীর। তরুণীদেরও এ সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। মাসিক যন্ত্রণাদায়ক হলে একসময় এন্ডোমেট্রিওসিস বা চকলেট সিস্ট হতে পারে আর চকলেট সিস্ট থেকে হতে পারে বন্ধ্যত্ব।
চকলেট সিস্ট বা এন্ডোমেট্রিওসিসসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা দীবা।
বিয়ের পরে যখন একজন মেয়ের বাচ্চা হতে সমস্যা হয়, তখন সে কখন বুঝবে যে এটি আসলে বন্ধ্যত্বের দিকে যাচ্ছে। এটা ডেফিনেশনটা আসলে কী, এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ফারজানা দীবা বলেন, সেটা হচ্ছে এক বছর। মিনিমাম এক বছর একই ছাদের নিচে একসাথে স্বামী-স্ত্রী যখন থাকছে, এক বছর একসাথে থাকার পরেও যখন চেষ্টা করে বাচ্চা হচ্ছে না; কোনও ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া এক বছর একসাথে থাকার পরেও বাচ্চা যদি না হয়, এটাকে আমরা বন্ধ্যত্ব বলি।
বর্তমান যুগে দেখা গেছে নারীর কর্মব্যস্ততা বা জবহোল্ডার হওয়ার কারণে অথবা প্রফেশনাল লাইফে আসার কারণে অনেক সময় দেরিতে বেবি নিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় যেটা আমরা শুনে থাকি যে ডাক্তারেরা সেগুলো ডায়াগনোসিস করতে পারেন না, সেটা দেরিতে বেবি নেওয়ার ক্ষেত্রে না কি একটা লম্বা গ্যাপের কারণে অথবা গাইনোকলোজিক্যাল কোনও প্রবলেমের কারণে এই ধরনের বন্ধ্যত্বজনিত সমস্যা হচ্ছে কি না। সে বিষয়টি আপনার কাছে জানার ছিল, এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ফারজানা দীবা বলেন, বয়স তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বন্ধ্যত্বের জন্য। কারণ, যত বয়স বাড়বে ডিমের পরিমাণ কমবে। সেই সাথে ডিমের কোয়ালিটি খারাপ হবে। ডিমের পরিমাণ যখন কমবে, তখন আপনার বাচ্চা আসতে যেমন সমস্যা হবে, ডিমের কোয়ালিটি খারাপ হলে অ্যাবনরমাল বেবির চান্স বাড়ে।
ডা. ফারজানা দীবা বলেন, যত বয়স বাড়ে ডাউন সিনড্রোম, অটিজমের চান্স বাড়ে। সেই সাথে যে মহিলা বেশি বয়সে বাচ্চা নিচ্ছে, তারও শারীরিক কিছু সমস্যা হয়। যেমন বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিস যেটা, সেটা হতে পারে। প্রেগন্যান্সিতে প্রেশার বাড়তে পারে। একলামসিয়া, প্রি-একলামসিয়া হতে পারে। সিজারিয়ান সেকশনের চান্স বাড়ে। কাজেই অনেক কমপ্লিকেশন কিন্তু বাড়তে পারে। তাই সঠিক সময়ে বাচ্চা নেওয়া উচিত।